ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চৌফলদন্ডীতে নষ্ট হচ্ছে সওজর কোটি টাকার ফেরি

feri-pic-1সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি,

কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী খালে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর কয়েক কোটি টাকা মূল্যের একটি ফেরি- ইউটিলিটি টাইপ ০২ (উন্নত) খালের পানি ও কাদায় ধেবে যাচ্ছে। তিন বছর ধরে ব্যবহারহীন অবস্থায় থাকায় ফেরিটির এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও মূল্যবান ফেরিটি রক্ষায় কোন রকম উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা য়ায়, বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার সাথে কক্সবাজার শহরে পারাপারের জন্য ২০০৪ সালে খুরুশকুল ও চৌফলদন্ডীর সংযোগ খালে মেঘনা নামে ফেরিটি বসানো হয়। ফেরিটি এর আগে বদরখালী খালে ব্যবহার করা হয়েছিল। ইজারা নিলামের মাধ্যমে ২০১২ সাল পর্যন্ত চৌফলদন্ডী খালে সচল রাখা হয়। কিন্ত ২০১৩ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চৌফলদন্ডী সেতু উদ্বোধন করার পর থেকে ফেরিটির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, তিন বছর ধরে পানিতে পড়ে থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোট টাকা মূল্যের ফেরিটি। এই বিশাল মূল্যের সরকারি সম্পদটি নষ্ট হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের কোন খবর নাই। অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকায় প্রতিদিন খোঁয়া যাচ্ছে ফেরিটির মূল্যবান নানা অংশ। সেই সাথে লবনের পানিতে জরাজীর্ণ লোহার পাতগুলো খসে খসে খালের পানিতে পড়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় জেলে করিম জানায়, ব্রিজটি চালু হওয়ার পর থেকে ফেরিটা জেলেরা এখন নৌকার জাল বুনার স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। ছৈয়দ নামের এক বোটের মালিক জানায়, ফেরিটি অলস পড়ে থাকায় আমরা মাঝে মধ্যে ফেরিতে বিশ্রাম করি। কিছু কিছু জেলেরা সাগর থেকে মাছ ধরে আসার পর বোটগুলো ফেরির সাথে নোঙর করে রাখে।

চৌফলদন্ডীর মাছ ব্যবসায়ী ইব্রাহীম বলেন, ফেরিটা সরকারি সম্পদ তাই এভাবে পড়ে আছে। যদি সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত ফেরিটি সরানোর ব্যবস্থা করে। তাহলে সরকারের রাজস্ব বিভাগে বিশাল একটা অর্থ জমা হবে এবং ফেরিটা যদি দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা হয় এক্ষেত্রে চৌফলদন্ডী খালের নাব্যতা অনেকটা ফিরে আসবে।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া বলেন, আমরা এক বছর আগেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পাদন করে অকশনে দেওয়ার জন্য ঢাকায় সওজের সরঞ্জাম বিভাগের ম্যাকানিক্যাল উইংয়ে প্রেরণ করেছি। সেখান থেকেই ফেরিটি ইজারা দিয়ে তারা যাবতীয় ব্যবস্থা নিবেন। ফেরিটার তত্বাবধানে একজন পাহারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। হয়তো পাঁচ-ছয় মাসের ভিতর অকশনে চলে যাবে।

পাঠকের মতামত: